কক্সবাজারের স্থানীয় এক সাংবাদিককে অশালীন ভাষায় গালাগালি করার ঘটনায় টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার খসরুর বিরুদ্ধে কী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে ইউএনও খসরু অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ দ্রুত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী মহল এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন রোববার আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার শুনানিতে বলেন, ইউএনও যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা মাস্তানদের চেয়েও খারাপ। কোনো রং হেডেড পারসন ছাড়া এমনভাবে বলতে পারে না। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা যদি কোনো অপরাধ করেন, তাহলে আইন আছে, প্রেস কাউন্সিল আছে। কিন্তু এভাবে গালিগালাজ কেউ করতে পারেন না। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য কিছু ঘর নির্মাণ করে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি ঘরে জোয়ার-ভাটা ও বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন উপকারভোগীরা। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ইউএনও খসরু সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম ফরহাদ কে অশালীন গালাগাল করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে ইউএনও খসরুর বিরুদ্ধে কী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি শুনানীতে ওই মন্তব্য করেছে।
– এটিএন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।